Shopping Tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Shopping Tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের সেরা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বাংলাদেশে কেন  প্রয়োজন ??

তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইন পেমেন্টের প্রয়োজন এখন অহরহ। আমাদের অনেকের কাছেই রয়েছে মাস্টার কার্ড, ক্রেডিড কার্ড বা ডেবিট কার্ড একাউন্ট আছে। কিংবা হয়ত রয়েছে স্কিল, পেইজা বা পেপাল একাউন্ট। এ ধরনের পেমেন্ট প্রসেসিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মতো থার্ড ওয়াল্ড কান্ট্রিতে যে বাজে সাভিস দেয় তা নিয়ে নতুন করে বলার আর কিছুই নেই। বিষটি প্রকট আকারে রূপ নেয় যখন আমাদের অনলাইন পেমেন্টের প্রয়োজন হয়।
দিনদিন আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। সাথে সাথে বাড়ছে বিদেশে উচ্চ শীক্ষায় আগ্রহীদের সংখ্যা। এদের সবারই কোন না কোন সময়ে ডলারের প্রয়োজন হয়। নিজের কাছে কার্ড না থাকলে অন্যের কাছে যেতে হয়। সবাই যে সাধু তা নয়। টাকা মেরে দেবার গল্প অনেক আছে।  অনেকেই টাকা নিয়ে থাকে কিন্তু পরে ডলার পাঠায় না। যা ফলে অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাংঙ্গালিরা একেবারে অসহায়।
এসব কথা চিন্তা করে সম্প্রতি বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যাংকিং এর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত অনলাইন লেনদেন কার্যক্রম চলু হল। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেবাখাতে বিল পরিশোধ, অনলাইনে কেনাকাটা, বিভিন্ন ফিস এমনকি বিশ্বের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ওয়েব সাইটে অনলাইনে লেনদেন করা যাবে। অনলাইন পেমেন্ট এখন আমদের কাছে পানি-ভাতের মত সহজ। যে পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব করা যাবে তা হল ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড এটির সাহায্যে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলা বাদে আর সব কিছুই করা যাবে।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড আসলে কি ?

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড মূলত কোন প্লাস্টিক কার্ড না। এটি একটি আনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। বাংলাদেশে কিছু কোম্পানি আছে যারা এই সার্ভিসটি দিয়ে থাকে। আপনি যখন বিকাশ কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে তাদেরকে  টাকা দিবেন তখন তারা অপনাকে একটি পিণ দিবে। তা দিয়ে আপনি প্রদানকৃত টাকার সমমূল্যের ডলার সবখানে ব্যবহার করতে পরবেন।অনেকেই সার্ভিসটি বাংলাদেশে দেয় তবে সবচেয়ে দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ হলো কিউ মাস্টার কার্ড বা কিউ কার্ড।

কার্ড ব্যবহারের সতর্কতা

এখনে মূলত কোন কোম্পানির কার্ড নিবেন তা নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকতে হয়। যেহেতু ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডে ভার্চুয়াল লেনদেন হয় , সেহেতু এটি দিয়ে হুন্ডি করার একটি সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেক কোম্পানি আছে যারা এটির আড়ালে হুন্ডি ব্যবসা করে থাকে।  আপনার অজান্তেই আপনার কার্ড দিয়ে হুন্ডি করবে তারা এবং সমস্ত আইনি ঝামেলায় পড়বেন আপনি।
তবে আমি যাচাই করে দেখেছি কিউ কার্ডে এটি সম্ভব নয়। কারণ আপনার কার্ডের মাধ্যমে কখন, কোথায়, কি পরিমাণ লেনদেন হল তা থাকবে আপনার নখদর্পণে। আপনার সমস্ত লেনদেন আপনি যখন খুশি চেক করতে পারবেন। অন্য কোম্পানি এত সহজভাবে সুবিধাটি দিবে না। সন্ধেহজনক কোন লেনদেন আপনার চোখে ধরা পড়লে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন দিন রাত যে কোন সময়ে।
তাছাড়া কিউ কার্ড মূলত নিউজিল্যান্ডের কোম্পানি, যাদের হেড অফিস ইউএসএ তে। এরা মূল মাস্টার কার্ড থেকে প্রসেসিং সাভিস কিনে বিজনেস করছে। অনেকটা পেওনিয়ারের মত। তাই আপনি থাকছেন শতভাগ নিরাপদ। এদের প্রসেসিং ও সার্পোট অত্যন্ত দ্রুত। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন কিউ কার্ড ইউজার।

 কেন ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বাংলাদেশে এতটা জনপ্রিয় ??

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড বাংলাদেশে আসার পর সবচেয়ে বেশী সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার ও বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা। এটি জনপ্রিয়তা পাবার মূল কারণগুলো হল-
১)বিশ্বের  প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ওয়েব সাইটে কেনাকাটা করা যায়
২) গুগল, ফেসবুক ইত্যাদিতে বিঙ্গাপন দেয়া যায়
৩)বিভিন্ন ফি প্রদান করা যায়
৪)ইমিগ্রেশন ফি, ভিসার জন্য আবেদন করা যায়

ব্যাপারটি কেবল এখানেই শেষ নয়। আপনি যদি কিউ মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে অপনি আরও কিছু এক্সট্রা সুবিধা পাবেনযেমন-
১) ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন নেই
২) চেকে লেনদেন করতে হয়না
৩) টাকা হারানো বা চুরি যাবার ভয় নেই
৪) মাসিক বা বা‍ৎসরিক ফি নেই
৫) লেনদেনে ফি নেই
৬) পেমেন্টের সময় কন চার্জ নেই



থার্ড ওয়াল্ড কান্ট্রি হবার পরও প্রযুক্তির কল্যানে আপনি পাচ্ছেন অনলাইন পেমেন্টের সকল সুবিধা। বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই এমন সিদ্ধান্তের জন্য।  এখন নিজে নিজেই অনলাইন পেমেন্ট করা যাবে। কারও কাছে গিয়ে বলতে হবে না যে “ ভাই আপনার কাছে কি ডলার হবে”




Read more ...

জেনে নিন পেপাল এবং পেওনিয়ারের বিকল্প পদ্ধতি। সেরা অনলাইন পেমেন্ট সলিউশন।

বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে যেমন- আমাজন, ইবে, আলীবাবা ইত্যাদি থেকে পণ্য কিনতে এবং ফেসবুকের মত সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেবার জন্য কিংবা ডোমেন হোস্টিং কিনতে আপনার লাগবে মাস্টার কার্ড। বাংলাদেশে পেপাল এবং পেওনিয়ার তাই খুবই প্রচলিত। তবে পেপাল কিংবা মাস্টার কার্ড পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। যা আনেকের কাছেই ঝামেলা মনে হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ থেকে পেপাল এপ্রুভ হয় নাতাই অনেকে বেশী ফি ব্যবহার করে পেওনিয়ার ব্যবহার করে। তাই অনলাইন লেনদেনে কেউই তেমন সন্তুষ্ট নন। তবে এখন আর চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা বাংলাদেশে পেপাল এবং পেওনিয়ারের বিকল্প সলিউশন এসে গেছে।

পেপাল এবং পেওনিয়ারের বিকল্প পদ্ধতি:

পেপাল এবং পেওনিয়ারের ব্যবহার আমরা করে থাকি সাধারণত –
১) অনলাইন রিটেইল শপ থেকে কেনাকাটা করতে
২) সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য গ্লোবাল অবেবসাইটে বিজ্ঞাপন দিতে
৩) দেশের বাইরে পেমেন্ট পাঠাতে
৪) অনলাইন স্টোর থেকে সফটওয়্যার, অ্যাপ ও গেইম কিনতে
৫) ডোমেইন হোস্টিং কিনতে

এখন, এসবের সবকিছুই আপনি করতে পারবেন পেপাল এবং পেওনিয়ার ছাড়া। বিশ্বের প্রায় মিলিয়নেরও বেশি মার্চেন্ট ওয়েবসাইটে লেনদেন এখন আপনার হাতের মুঠোয়। MasterCard  আপনাকে অফার করছে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও অনন্য ভার্চুয়াল প্রিপেইড কার্ডএটির দ্বারা এমন কোন কাজ নেই যা করা যাবে না। ভার্চুয়াল কার্ড ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সহজ। বাংলাদেশী টাকা দিয়ে এখন আপনি সবধরনের অনলাইন লেনদেন করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল কার্ড আসলে কি ?

ভার্চুয়াল কার্ড এমন একটি কার্ড যেখানে কোন ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াই যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, সহজ ভেরিফিকেশন শেষে অল্প সময়ের মধ্যে কার্ড হাতে পাওয়া যায়, বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়, কোন প্রকার মাসিক বা বাৎসরিক ফি দিতে হয় না।
দ্রুত রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা এবং সহজ পেমেন্ট প্রসেস এর কারণে ভার্চুয়াল কার্ডকে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকরা সেরা অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া ভার্চুয়াল প্রিপেইড কার্ড যে কেউ নিতে পারবেন, এবং যেকোনো কাজে পেমেন্ট করতে পারবে যখন খুশি তখনই! পেমেন্ট করে বসে থাকতে হবে না কতক্ষনে পৌঁছায় তা দেখার জন্য
আপনি আপনার কার্ডে যে পরিমান টাকা লোড করবেন, তার সমই ব্যয় করতে পারবেন কোন প্রকার বাড়তি ফিস ছাড়াই। তাছাড়া এখানে আপনার সমস্ত তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ, বাইরে প্রকাশ পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনার প্রত্তেকটি লেনদেনের তথ্যও গোপন রাখা হবে। শুধু তাই নয়,  বিশ্বসেরা সিকিউরিটি প্রযুক্তি ও এনক্রিপসন সিস্টেম ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কার্ড তৈরি হয়ফলে আপনার টাকা হ্যাক হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই।

কি কি করতে পারবেন ??

১) বিশ্বের এক মিলিয়নের বেশি সাইট থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন (যেমনঃ Amazon, E-Bay, Ali express, Rakuten, Overstock etc.)
২) আপনার অনলাইন বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন এর জন্য পেমেন্ট করতে পারবেন  ( যেমনঃ Facebook, Google, Youtube, Twitter, Instagram etc.)
৩) আপনার স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারে অনলাইন থেকে গেমস, অ্যাপ, টুলস, গান, সিরিজ, মুভি সহ প্রয়োজনীয় যেকোনো জিনিস কিনতে পারবেন।
৪) বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আপনার ইম্পোর্ট -এক্সপোর্ট বিজনেস এর জন্য অনায়াসে পেমেন্ট করুন নিরাপদে।
৫) অনলাইনে কোর্স ফি প্রদান এবং GRE, TOFEL, GMAT, SAT ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষার ফি প্রদান করতে পারবেন
৬) আপনার বিদেশের মাটিতে যাওয়া, প্লেনের টিকেট কাটা, হোটেল বিল, গাড়ি ভাড়া সহ সমস্ত খরচ এখন ভার্চুয়ালকার্ড দিয়ে পরিশোধ করতে পারবেন
৭) টপ র‍্যাংকিং সাইট থেকে আপনার ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে পারবেন। (যেমনঃ bluehost, Name.com, web.com, hostgator, Godaddy, namecheap)
৮) আপনার প্রিয় মানুষদের সারপ্রাইজ দিন দারুণ সব ভার্চুয়াল গিফট কার্ড দিয়ে। এই গিফট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে ইচ্ছে মত


প্রযুক্তি আপনাকে দিচ্ছে সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা। সেদিন আর বেশী দূরে নাই যখন মানুষ মানিব্যগ কিংবা ওয়ালেট বাদ দিয়ে ব্যবহার করবে ভার্চুয়াল কার্ড।




Read more ...

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন কেন দিব ? কিভাবে দিব?

 ফেসবুক বিজ্ঞাপন কি?


পত্রিকা,টিভি,রেডিও অন্যান্য মাধ্যমের মত ফেসবুকও এমন এক মাধ্যম,যার মাধ্যম আপনি আপনার কোম্পানী/পেইজ/ওয়েবসাইট/প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে লাখো মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপনটি পৌঁছে দিতে পারেন।

ফেসবুকে কেন বিজ্ঞাপন দিব?


বাংলাদেশেও এখন অন্যান্য উন্নত দেশের মত সুযোগ বেড়েছে, আজ থেকে কয়েক বছর আগেও মানুষের হাতে তেমন মোবাইল ফোন ছিল না। এখন ধনী গরীব সবার হাতেই অন্তত ১টি করে মোবাইল পাওয়া যায়।  আজকাল অনেক মানুষ ইন্টারনেট মানেই ফেসবুক কে বুঝে থাকে। মনে করে ফেসবুকই ইন্টারনেট। বিষয়টা বিজ্ঞদের কাছে হয়তো হাস্যকর মনে হবে। কিন্তু এটাই সত্যি।

আর এখন অনেকে আছে যারা ১০ টাকা খরচ করে কাগজের পত্রিকা হাতে ধরে খবর পড়ে না,কারন যুগ পাল্টে গেছে, এখন মাত্র একজন মিনিটের মধ্যে ফেসবুকে প্রবেশ করলেই বাংলাদেশের সকল পত্রিকার খবর একসাথে পেয়ে যায়,আর যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম,আর ফেসবুকে প্রবেশ করলেই খুব সহজেই সকল বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।তাই কোন কাজ করুক বা না করুক অন্তত ১বার এর জন্য হলেও ফেসবুক একাউন্ট চেক করবে।
আর আমাদের দেশে গতানুগতিক অ্যাড দেয়া হয় পেপার-পত্রিকায়, যা কিনা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী বা বয়সের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব নয়।
আপনি অ্যাড দেয়ার সময় নিশ্চয়ই চাবেন এমনটা।
আপনি আপনার ব্যাবসা/পণ্য এর বিজ্ঞাপন দেয়ার সময় অবশ্যই ঠিক সেই নির্দিষ্ট মানুষ দেরই টার্গেট করা উচিৎ।
এতে আপনার লক্ষপূরন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
এবং এটা শুধু ফেসবুকেই সম্ভব। ফেসবুকে সবার পেশা, ভাষা, আগ্রহ ইত্যাদি অনুযায়ী শ্রেণী ভাগ করা যায়।
যাতে করে আপনি আপনার বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারবেন আপনার নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে।

তাই আপনি আপনার কোম্পানী/পেইজ/ওয়েবসাইট/প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে লাখো মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপনটি পৌঁছে দিতে পারেন।

সংক্ষেপেঃ

০১. ফেসবুক পেইজে লাইক বাড়তে
০২. লাইক বাড়ানোর মাধ্যমে অনেক মানুষ আপনার পেইজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে
০৩. পেইজে কোন পোস্ট দিলে তা লাইক দেওয়া ব্যবহারকারীরা দেখতে পারবেন
০৪. অ্যাপ্লিকেশনের বিজ্ঞাপন দিলে অনেক ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করবে
০৫. ইভেন্টের বিজ্ঞাপন দিলে অনেক ব্যবহারকারী ইভেন্টে অংশ নিবে
০৬. কোন সংবাদের বিজ্ঞাপন দিলে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা পাঠক বাড়বে।

ফেসবুকে অ্যাড দেওয়ার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

১. Title যা লিখবেন তা স্পেসসহ ২৫ ক্যারেক্টার হতে হবে
২. Body তে যা কিছু লিখবেন তা স্পেসসহ ৯০ ক্যারেক্টার হতে হবে
৩. ছবির pixel 600*225 হতে হবে
৪. আপনি সর্বোচ্চ ৬টি ছবি দিতে পারবেন পেজের অ্যাডের জন্য
৫. আপনাকে Location, Age, Gender (target audience) বলে দিতে হবে
আপনি আপনার পেজ প্রোমোটের জন্য উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি প্যাকেজ নিতে পারেন।

ফেসবুক কিভাবে চার্জ করেঃ

ফেসবুক মুলত চার্জ করে তিনটিভাবে
১. Cost Per 1000 Impressions (CPM)ঃ আপনার বিজ্ঞাপনের ১০০০ ইম্প্রেশনের উপর নির্ভর করে ফেসবুক একটা চার্জ করে।
২. Cost Per 1000 People Reachedঃ আপনার বিজ্ঞাপনে প্রতি ১০০০ মানুষ বিজ্ঞাপনটি দেখেছে, তার উপর ভিত্তি ফেসবুক একটা চার্জ করে 
৩. Cost Per Click (CPC)ঃ আপনার বিজ্ঞাপনটিতে কতজন মানুষ ক্লিক করছে বা কতটি likes আসছে, তার উপর ভিত্তি করে ফেসবুক একটা চার্জ করে।

তবে Facebook Page Promote করতে চাইলে ফেসবুক একটি  price rate বলে দেয় likes এর জন্য সেটি নিচে দেওয়া হলঃ
$5 = 400BDT = Est 44 - 176 Likes per day
$10 = 800BDT  = Est 88 - 353 Likes per day
$15 =  1200  BDT =  Est 132 - 529 Likes per day
$20 = 1600BDT  Est 176 - 706 Likes per day
$25 = 2000BDT  Est 221 - 882 Likes per day
আপনি ইচ্ছা করলে এর চেয়েও বেশি টাকার অ্যাড দিতে পারেন।

অপনার কাছে কার্ড নেই । কিভাবে বুস্ট দিবেন ?

ফেসবুক বুস্টের জন্য কার্ড থাকা জরুরীকিন্তু কার্ড পেতে অনেক ফরমালিটি আছে ও সময়ের ব্যবহার। আমার কাছে পেওনিয়ার কার্ড নেইকিন্তু গিফট কার্ড ব্যবহার করে আমি আমার পেইজে বুস্ট দিয়ে থাকি। আপনার কাছে কার্ড না থাকলে অন্যের কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তা মোটেও নিরাপদ নয়। যদি আপনি নিরাপদে বুস্ট দিতে চান তাহলে নিজের কার্ড ব্যবহার করুন, নতুবা গিফট কার্ড ব্যবহার করুন। গিফট কার্ডের ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ ও সবচেয়ে সহজ। গিফট কার্ড পেতে Gift card bd -তে ক্লিক করুন।



Read more ...

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ! দিন দিন বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটা

বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জাহিদুর রহমান। সকালে অফিসে চলে যান, ফেরেন সন্ধ্যায়। দীর্র্ঘদিন পরিচর্যা করতে না পেরে তাঁর প্রিয় ল্যাপটপটি ধুলোবালি পড়ে নষ্ট হচ্ছিল। কেনা প্রয়োজন ল্যাপটপ ক্লিনিং কিটস্। কাজের চাপে মার্কেটে যেতে সময় পান না তিনি। একদিন অফিসে বসে ফেসবুক ঘাঁটছিলেন জাহিদ। ফেসবুকে দেখতে পেলেন ল্যাপটপ ক্লিনিং কিটস্রে একটি বিজ্ঞাপন। তিনি সেখানে ক্লিক করতেই চলে গেলেন একটি অনলাইন শপে। সেখানে গিয়ে অর্ডার করলেন ওই ল্যাপটপ ক্লিনিং কিটস্। প্রথমে বুঝতে পারেননি, আসলেই তাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হবে তাঁর প্রয়োজনীয় পণ্যটি। অর্ডার চূড়ান্ত করতে ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁর মোবাইলে ফোন এলো অনলাইন শপ থেকে। তিনি তাঁর অর্ডারটি চূড়ান্তও করে দিলেন। পরদিনই তাঁর ঠিকানায় পৌঁছে গেল ওই পণ্যটি। পণ্যের দামও তিনি দিয়েছিলেন পণ্য বুঝে পাওয়ার পরই। এর পর থেকে তিনি কোন কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন হলেই আগে খোঁজ করেন অনলাইন শপগুলোতে। প্রয়োজনীয় পণ্য অনলাইন শপে পাওয়া গেলে অর্ডার দেন সঙ্গে সঙ্গে। এমনি করেই বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনধারা।

বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা


উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এভাবেই বাংলাদেশে ক্রমশ প্রসার ঘটছে অনলাইন কেনাকাটার। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে নিজের অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি পেয়ে ক্রেতারাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনলাইন কেনাকাটায়। পণ্য বুঝে পেয়ে মূল্য (ক্যাশ অন ডেলিভারি) পরিশোধের সুযোগে অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেতাদের আগ্রহ আরও বেশি। নগরজীবনের ব্যস্ততায় একটু স্বস্তি দিয়েছে এই অনলাইন শপগুলো। ইন্টারনেট সহজ করে দিচ্ছে ক্রেতার জীবনাচরণ। অনলাইন শপগুলোর বিক্রেতারা বলছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তাঁরা। জাহিদুর রহমান বলেন, অনলাইন কেনাকাটা আমার জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে। একটি জিনিস কিনতে আগে পুরো বিপণিবিতান ঘুরতে হতো। এতে অনেক সময় নষ্ট হতো। এখন খুব সহজেই আমার প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারছি অনলাইনে।


অভিজ্ঞরা বলছেন, অনলাইনে অর্ডার করলে পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতার দোরগোড়ায়। অর্থ পরিশোধে পাওয়া যাচ্ছে ব্যাংক সহায়তাও। অনেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিশোধ করে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় অর্থ। ক্যাশ অন ডেলিভারিতে গ্রাহক পণ্য হাতে পাওয়ার পর টাকা পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন। এ কারণে অনলাইন বাজারে কেনাকাটা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন ক্রেতারা। জমি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, কম্পিউটার, মোবাইল থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, জুয়েলারি, শাড়ি, ঘর গোছানোর সামগ্রী সবই কিনতে পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। এমনকি মাছ, মাংস, কাঁচাবাজারও মিলবে অনলাইন অর্ডারে। দোকান বা শপিংমলে গিয়ে যেভাবে পরখ করে পছন্দের পণ্যটি কেনা হয় ঠিক সেভাবে অনলাইন শপে ঢুকে ছবি এবং দাম দেখে অনলাইনেই কেনার অর্ডার দেয়া যায়। ডেলিভারির সময় হাতে অর্ডার দেয়া জিনিস পেয়ে যাচাই করে নেয়ারও সুযোগ রয়েছে। পছন্দসই জিনিস না পেলে অর্ডার বাতিলও করা যায়। অবশ্য তা শুধু ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।


অন্যদিকে, ক্রেতা-বিক্রেতার এই চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অনলাইনে বেচাকেনার প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমেও চলছে বেচাকেনা চলে। জমি, ফ্ল্যাট, গাড়ি থেকে শুরু করে হাঁড়ি-পাতিল, মাছ-মাংস পর্যন্ত বিক্রি বেচা-কেনা হচ্ছে এসব ওয়েবপোর্টালে। প্রবাসী ক্রেতাদের জন্যও রয়েছে অনলাইনে পণ্য কেনার ব্যবস্থা। এ ছাড়া রেলওয়ে টিকেট, হোটেল বুকিং এবং অভ্যন্তরীণ বিমানের টিকেট কেনার সুবিধাও দিচ্ছে বেশ কয়েকটি সাইট। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যার মধ্যে প্রায় ২ শতাংশ বা দুই লাখ গ্রাহক নিয়মিত অনলাইনে কেনাবেচা করেন। অনলাইন বাজারে যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়, তেমনি বিভিন্ন উৎসবের পণ্যসম্ভারে সেজেছে আমারদেশ ই-শপ (www.amardesheshop.com)ঈদ উপলক্ষে একেবারে নতুন করে সাজানো হয়েছে সাইটটি। যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন পণ্য। এখনই ডটকমে (www.akhoni.com) ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে আগের মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ কম দামে। অনলাইনে বেচাকেনার এই সাইটটির মাধ্যমে ছবি দেখে অর্ডার দিলে একদিনেই বাসায় পৌঁছে যাবে পণ্য। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট-প্যান্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবিসহ সব ধরনের পণ্য কেনাকাটা করার সুযোগ আছে। এখনই ডটকমের প্রধান নির্বাহী শামীম আহসান বলেন, গ্রাহকদের আরও বেশি পণ্য সুবিধা দিতে এখনই ডটকম ই-শপ চালু করেছে। এতে যে কেউ অনলাইনে দোকান ভাড়া নিয়ে নিজের ব্যবসার প্রসার করতে পারবেন।

কারিগর ডটকমে (www.karigor.com) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-সোনাদিয়ার বিখ্যাত শুঁটকি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাদ্যপণ্য, টি-শার্ট, নকশিকাঁথা, সৃজনী, হাতের কাজ করা বিছানার চাদর, উপহার সামগ্রী ছাড়াও ২৪ ঘণ্টাব্যাপী মোবাইলে ব্যালান্স রিচার্জের ব্যবস্থা রয়েছে। কারিগর ডটকমের নির্বাহী পরিচালক নূর নবী দুলাল বলেন, বিলাসবহুল কোন শপিংমল কিংবা দামি কোন ব্র্যান্ডের পণ্যটি খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান ই-শপিং সুবিধা দিচ্ছে, তাদের মধ্যে একমাত্র কারিগর ডটকমই ২৪ ঘণ্টা সর্বক্ষণিক কাস্টমার সার্ভিস সুবিধা দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ডস ডটকম (www.bangladeshbrands.com) সাইটটিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় সব ব্র্যান্ডের পোশাক পাওয়া যায়। ঈদ উপলক্ষে একেবারে নতুন করে সাজানো হয়েছে সাইটটির হোমপেজ। আপলোড করা হয়েছে নতুন নতুন পণ্যের ছবি। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকা হাসান বলেন, সাইটটিতে অহং, এক্সট্যাসি, লেভেন্ডার, বিবিয়ানা, স্মার্টেক্স, রঙ, প্রবর্তনা, মেনজ ক্লাবসহ প্রায় ৫৪টি ব্র্যান্ডের পোশাক কেনা যাবে। এ সাইটে রয়েছে প্রায় ৩১ হাজার পণ্য।

আজকেরডিল ডটকমের (www.ajkerdeal.com) মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের পণ্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ক্রেতাদের সরবরাহ করা হয়। নারীদের জন্য শুধু বাহারি সব জামদানি শাড়ির সমাহার নিয়ে রয়েছে রূপকথা জামদানি ডটকম (www.rupkothajamdani.com)অনলাইন শপটির প্রতিষ্ঠাতা তরুণ উদ্যোক্তা শারমিন রাবেয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে সব ধরনের জামদানিতে থাকছে ছাড়।

ফেসবুকেও বেশ কিছু গ্রুপের মাধ্যমে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা নিজেদের পণ্য সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে এখন সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় এ মাধ্যমটি ব্যবহার করছেন। দেশের অনলাইন বেচা-কেনার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে বড় সাইট বিক্রয় ডটকম (www.bikroy.com)প্রায় ২০ হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা প্রতিদিন এই ওয়েবপোর্টালে প্রবেশ করেন। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার বিজ্ঞাপন পায় এই ওয়েবপোর্টাল। বিক্রয় ডটকমের বিপণন ব্যবস্থাপক ঈশিতা শারমীন বলেন, অনেক সময় এখানে বিজ্ঞাপন দেয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যেই পণ্য বিক্রি হয়ে যায়। অনলাইন বেচা-কোনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ওএলএক্স ও এখনই পটকমও।

টপ অল ব্রান্ড বিদেশ থেকে সরাসরিভাবে আমদানিকৃত পণ্য দিয়ে সাজিয়েছে তাদের সাইট। তারা সব ধরনের অরিজিনাল বিদেশী পণ্য সরবারহ করে থাকে। আপনার চাহিদামত যেকোন বিদেশী পণ্য এদের কাছে অর্ডার দিতে পারবেন।

অনলাইন বেচাকেনা হয় দুইভাবে। বিক্রয়ডটকমের মতো ওয়েবপোর্টালে বিক্রেতা তার পুরনো পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। আগ্রহী ক্রেতা সেই বিজ্ঞাপন দেখে ওই বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে দুজনের আপসের ভিত্তিতে পণ্যটি বেচাকেনা হয়। এ জন্য অবশ্য নগদ অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব ওয়েবসাইটে এখন নতুন পণ্যের বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেয়া শুরু হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আবার বেশ কিছু ওয়েবপোর্টাল রয়েছে, যারা নিজেরাই পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ করে। ক্রেতা শুধু পণ্য পছন্দ করে অনলাইনে ক্রেডিট বা ডেভিট কার্ডের মাধ্যমে অথবা ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে বিল পরিশোধ করেন।

আজকের ডিল ডটকম এর হেড অব অপারেশন দেবাশীষ ফণী বলেন, ২০১১ থেকে আজকের ডিল ডটকম যাত্রা শুরু করে। তিনি বলেন, শুরুর দিকে প্রতিদিন একটি পণ্যও আমরা বিক্রি করতে পারতাম না। তবে এখন প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি পণ্য আমরা বিক্রি করতে পারছি। তিনি বলেন, আসলে আমরা যে সময় যাত্রা শুরু করি, তখন আমাদের দেশে ইন্টারনেট সেবাও খুব দুর্বল ছিল। একই সঙ্গে দেশের মানুষ ওই সময় অনলাইন কেনাকাটায় খুব একটা পরিচিতও ছিল না। তিনি আরও বলেন, থ্রিজি ইন্টারনেট সেবা চালুর পর থেকেই অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশে যে কটি অনলাইন শপ রয়েছে তাদের মধ্যে আমরাই প্রথম বাংলায় ওয়েব পোর্টাল করেছি। দেশের সকল মানুষের দোরগোড়ায় এ সেবা পৌঁছে দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ।
দেবাশীষ বলেন, আমাদের ওয়েবসাইটে যাঁরা ভিজিট করেন, তাঁদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্ডার আমরা পাই। বাকিরা অর্ডার করেন না। ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ভিজিটরের পণ্য না কেনার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এঁদের মধ্যে অনেকের পণ্যটি প্রয়োজন হয় না, আবার অনেকে এখনও অনলাইনে কেনাকাটার সঙ্গে পরিচিত নন। দেশের মানুষ অচিরেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে নির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে আশা দেবাশীষের। দেবাশীষ ফণী আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য প্রযুক্তিনির্ভর শপিংয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানো। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর কেনাকাটায় ক্রেতাদের অভ্যস্ত করে তাদের সময় বাঁচানোও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন এই আজকের ডিলের এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি যা কিছুই চান, বাড়িতে বসে তা পেতে পারেন এবং পণ্যমান বিষয়ে ছাড় না দিয়েই। অনলাইনে কেনাকাটা করার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি আগামী বছরগুলোতে এর ব্যাপক সম্ভাবনাকে জোরালোভাবে ফুটিয়ে তুলছে।
Read more ...

ই-কমার্স বিজনেস – তরুণ সমাজের আত্মকর্মসংস্থানের দারুণ ক্ষেত্র!


সাথী পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারথাকেন ঢাকার মাহাখালি এলাকায়।  প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটায় অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। কাজ শেষে বাসায় ফেরেন সন্ধ্যা সাতটার দিকে অফিসে থাকেন আট ঘণ্টা, আর সাড়ে তিন ঘণ্টা কেটে যায় যানজটে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিজের পরিবারের দৈনন্দিন কাজ করেন, বাচ্চাদের সময় দেন। ব্যস্ততার কারণে সংসারের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে সময় বের করতে পারেন না তিনি। অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন, ঘরে বসে কীভাবে কেনাকেটা করবেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

ই-কমার্স বিজনেস  তরুণ সমাজের আত্মকর্মসংস্থানের দারুণ ক্ষেত্র


বাসায় ফিরে কিছুটা সময় ইন্টারনেটে ঘোরাঘুরি করা সাথীর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। বছর খানেক আগে একদিন অনলাইনে ই-শপিংয়ের খোঁজ পান তিনি। প্রথম দিকে শুধু অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পোর্টালগুলোতে ঘোরাঘুরি করতেন। কোন পণ্যের দাম কত,মান কেমন,বিক্রেতা কোন এলাকারএসব দেখতেন তিনি। মাস ছয়েক আগে একদিন সাহস করে একটি ওয়াটার পিউরিফাইয়ার কেনার জন্য বিক্রেতার মুঠোফোনে কল দেন। দামে বনে যাওয়ায় অর্ডার করে ফেললেন। টাকাও পরিশোধ করে দিলেন বিকাশের মাধ্যমে। পরদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে সাথী দেখেন যে বিক্রেতা তার ঠিকানায় ওয়াটার পিউরিফাইয়ার পৌঁছে দিয়ে গেছেএভাবেই তিনি অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হলেন। গত ছয় মাসে তিনি যেমন কিনেছেন পোশাক তেমনি কিনেছেন গৃহস্থলী সামগ্রী। এখন লেনদেন আর নিরাপদ হয়েছে। আগে তিনি পণ্যের জন্য অগ্রিম পেমেন্ট করে দিতেন এখন হোম ডেলিভারি নেওয়ার সময় বিল পেমেন্ট করতে পারছেন।

সাথী বলেন, অনলাইন কেনাকাটা আমার জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে। একটি জিনিস কিনতে আগে পুরো বিপণিবিতান ঘুরতে হতো। এতে অনেক সময় নষ্ট হতো। গত ছয়মাস ধরে প্রায় ৮০ শতাংশ পন্যই কিনেছি অনলাইনে।

এভাবেই বাংলাদেশে এখন ক্রমশ অনলাইন বেচাকেনার প্রসার ঘটছে। অনলাইন বেচাকেনায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন ক্রেতারা। নগরজীবনের ব্যস্ততায় একটু স্বস্তি দিয়েছে এই অনলাইন বাণিজ্য। একটি মুঠোফোনই সহজ করে দিচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার জীবনাচরণ। মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

ক্রেতা-বিক্রেতার এই চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অনলাইনে বেচাকেনার প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমেও বেচাকেনা চলে। জমি,ফ্ল্যাট,গাড়ি থেকে শুরু করে হাঁড়িপাতিল,মাছ-মাংস পর্যন্ত বিক্রি হয় এসব ওয়েবপোর্টালে। এমনকি কোয়েল পাখির ডিমও বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

সেলবাজার নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১১ সালে প্রথম অনলাইনে বেচাকেনা শুরু করে। এরপরেই অনলাইন বেচাকেনার প্রসার ঘটতে থাকে। বর্তমানে এমন ২০ থেকে ২৫টি ওয়েবপোর্টাল রয়েছে। এ পোর্টালগুলো ব্যবসায়িকভাবে বেশ সফল হতে শুরু করেছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ এসব পোর্টাল দেখছে,এমন বিবেচনায় এখানে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনলাইন বেচাকেনা হয় দুইভাবে। বিক্রয়ডটকম, এখানেই ডট কম, ক্লিক বিডি, আমার গ্রাম ইশপএসব ক্লাসিফাইড এডভারটাইজিং সাইট এখন এখন কেনা বেচার জন্য জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এখানে বিক্রেতা তাঁর পুরোনো পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। আগ্রহী ক্রেতা সেই বিজ্ঞাপন দেখে ওই বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে দুজনের আপসের ভিত্তিতে পণ্যটি বেচাকেনা হয়। এ জন্য অবশ্য নগদ অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব ওয়েবসাইটে এখন নতুন পণ্যের বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেওয়া শুরু হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজস্ব পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

আবার বেশ কিছু ওয়েবপোর্টাল রয়েছে,যারা নিজেরাই পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ করে। ক্রেতা শুধু পণ্য পছন্দ করে অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করেন। বাগডুম, দারাজ, প্রিয় শপ, অথবা – ইত্যাদি অনলাইন শপের মাধ্যমে আপনি এখন ঘরে বসে যেকোনো পন্য অর্ডার করতে পারছেন। বিক্রয় করার জন্যও প্লাটফর্ম আছে আপনার জন্য! অন্যদিকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমেও তাদের পণ্য বিক্রি করছে। বেশ কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ইকমার্স সাইট হয়েছে। শুধু তাই নয়! এখন ঘরে বসে অ্যামাজন, ইবে, আলি এক্সপ্রেস কিংবা ইন্ডিয়ান ফ্লিপকার্ট এর মত সাইট থেকে বিদেশী পন্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ করে দিচ্ছে টপ অল ব্র্যান্ড এর মত ইকমার্স সাইট। তারা বিদেশী পণ্যের আমদানিকারক। আপনি তাদের সাইট ঘুরে যেকোনো বিদেশী পন্য কিনতে পারবেন আবার তাদের মাধ্যমে আপনার পছন্দের বিদেশী পন্যটি বাইরে থেকে কিনিয়ে আনতে পারবেন। 

অনলাইনে কেনাবেচার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভোক্তা আচরণেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশিরা কী ধরনের ওয়েবপোর্টালে যেতে পছন্দ করেনতার একটি চিত্র পাওয়া যায় গুগল ট্রেন্ডসের ২০১৩ সালের হিসাবে। সেখানে দেখানো হয়েছে, গুগল সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে এসএসসির ফলাফলের ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশিরা। পরের স্থান রয়েছে এইচএসসি ফলাফলের ওয়েবসাইট। আর গুগল দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রবেশ করেছেন তৃতীয় সর্বাধিক ব্যক্তি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, চতুর্থ স্থানটি দখল করে আছে অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবপোর্টাল বিক্রয়ডটকম। এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফল জানতে বছরে এক দিনই সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা হয়। নিয়মিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিবেচনা আনলে ফেসবুকের পরেই বেচাকেনার ওয়েবপোর্টালে প্রবেশ করেন বাংলাদেশিরা। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন মানুষ এই ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহী। কেউ পন্য কিনুক বা না কিনুক দিনে অন্তত একবার করে হলেও অনলাইনে কেচাবেচার ওয়েবসাইটে তারা ঢুকবেই।

Read more ...

অনলাইনে কেনাকাটায় ভোগান্তি ও সমাধান

বাংলাদেশে ই-কমার্স বিজনেস এর প্রসার হওয়ার ফলে শপিং মলে কিংবা মার্কেটে এখন আর ভিড় ঠেলে যাওয়ার কোন প্রয়োজন হচ্ছে না আমাদেরঘরে বসে আরামেই যেকোনো কেনাকাটা, এমন কি বাজার পর্যন্ত করা যাচ্ছে অনায়াসেই! বাজার করার ধরন এখন পাল্টে গেছে অনলাইন শপিংয়ের জন্য।
অনলাইনে কেনাকাটায় ভোগান্তি

কথায় আছে – যত মুশকিল তত আসান! আপনি যেদিকেই তাকান এই কথার সত্যতা খুঁজে পাবেন। দেখেন বাংলাদেশের মানুষ যে হারে বেড়েছে, বিশেষ করে ঢাকার ভেতরে রাস্তাঘাটে যে অবস্থা, তাতে করে রাস্তা ঘাটে চলা কিন্তু মুশকিল হয়ে গেছে। আপনি যদি পুরান ঢাকার দিকে যান তাহলে ব্যাপারটা আর ভাল ভাবে খেয়াল করতে পারবেন। দিন নেই, রাত নেই রাস্তায় জ্যাম লেগেই আছে। ফুটপাত ধরে যে শান্তিমত হেঁটে যাবেন তারও কোন উপায় নেই। মানুষের লাইন লেগে আছে এ মাথা থেকে ওমাথা! এই অবস্থায় যদি প্রতিটি নিত্য পন্য কেনার জন্য আমাদের মার্কেটে যেতে হয়, তাহলে অবস্থা কতটা বেগতিক হতে পারে তা একবার ভাবুন তো? এক ঘন্টার কাজে দুই চার ঘন্টা লাগবে! ব্যস্ত নাগরিক জীবনে এখন প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান! তাহলে উপায় কি?
তাই মানুষই এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে! একদল লোক ই-কমার্স বিজনেসে নেমেছে। অনলাইনে পন্য অর্ডার দিয়ে কিংবা ফোনে অর্ডার করলেই বাসায় পন্য হাজির! আগে ড্রেস, জুতো, ইলেক্ট্রনিকস ইত্যাদি পন্য অর্ডার দিয়ে আনা যেত। এখন তো চাল ডাল নুনও আমরা অনলাইনে কিনতে পারছি! এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।
কিন্তু এ সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা এখনও হয়নি। অনলাইনে কেনাকাটার বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। আজকের আয়োজনে আমরা সেসব দিক নিয়েই কথা বলবো। আশাকরি মন দিয়ে পড়বেন। আমরা যারা ইকমার্স বিজনেসের সাথে জড়িত কিংবা ভবিষ্যতে এই বিজনেসে যাব অথবা যারা আমরা অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকি তাদের সবার জন্যই এই পোষ্টটি খুব গুরুত্বপুর্ন।

বাংলাদেশে ইকমার্স বিজনেসের আওতা
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইন শপিংওয়েবসাইটগুলো এমন এক প্লাটফর্ম যেখানে একই ব্যক্তি পণ্য বা সেবা কেনা ও বেচা- দুই ধরনের সুবিধাই ভোগ করতে পারেন। তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চ ইনকরপোরেশন তাদের ২০১৩ সালে প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিক অনলাইন রিটেইল ফোরকাস্ট ২০১৩ টু ২০১৮শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৩ সালে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সম্মিলিত বাজার ছিল ৬৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ ছয় দেশের সম্মিলিত বাজার ছিল প্রায় ৩৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০১৮ সালে দাঁড়াবে ৮৫৮ বিলিয়ন ডলারে। বিশ্বজুড়ে অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ বাড়ছেই। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালের শেষের তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এ খাতে কেনাকাটার পরিমাণ ২০১২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেইন অ্যান্ড কোম্পানির এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৩ সালে অনলাইন কেনাকাটায় চিনের সাধারণ ক্রেতারা কেনাকাটা করেছে ২১ হাজার ২৪০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য বা সেবা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের ব্যয়ের পরিমাণ ২২ হাজার ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ই-মার্কেটের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ই-কমার্সে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভোক্তারা উত্তর আমেরিকার ভোক্তাদের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে। এ বছর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভোক্তারা ৫২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে। আর উত্তর আমেরিকানরা ব্যয় করেছে ৪৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাজ্যের দ্য অফিস অব কমিউনিকেশনসের বরাতে জানা যায়, প্রতি এক সপ্তাহে গড়ে চারজন ব্রিটিশ নাগরিক অনলাইনে শপিং করেন।

২০০৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনলাইন লেনদেনকে বৈধতা দেওয়া হয়। সেই সময় থেকে এ দেশে ই-কমার্সের সূচনা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মতে, ২০১৪ সালে দেশের জনসংখ্যার ৭২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এবং মাত্র এক-পঞ্চমাংশ প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) তথ্য, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৪ সালের ৭০ লাখে পৌঁছেছে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি অনলাইনে কেনাকাটাকে দিনকে দিন জনপ্রিয় করে তুলছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস)-এর তথ্যানুসারে, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্স ১৫০ শতাংশ বেশি বেড়েছে। ২০১০-১১ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ যখন নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল তখন ই-কমার্সে মোট ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি টাকা; আর মোট ক্রেতার সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ লক্ষ। বাংলাদেশে বর্তমানে কেনাকাটার জনপ্রিয় সাইটের মধ্যে রয়েছে, বিক্রয় ডটকম, এখানেই ডটকম, Topallbrandআজকের ডিল ডটকম, চালডাল ডটকম, দারাজ ডটকম ডটবিডি, বাগডুম ডটকম, ক্লিক বিডি ডটকম, , বিপণি ডটকম, উপহারবিডি ডটকম, বিডিহাট ডটকম, সামগ্রিক ডটকম, হাটবাজার ডটকম, ইজি-বাজার ডটকম, ইউশপ ডটকম, একমাত্র ডটকম এবং কেনাকাটা ডটকম। বিশেষায়িত অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মধ্যে উল্লেখযোগ হলো জমি ও বাড়ি কেনাবেচার জন্য ই-কমার্স সাইট জার্মানির লামুডি, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বেচাকেনার জন্য জার্মানির কারমুডি। এসব ওয়েবসাইট থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কেনাকাটা করা যায় জামা, জুতা, শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, গয়না, ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার, গাড়ি, জমিসহ নিত্যনতুন সামগ্রী। রয়েছে নিজের পুরনো জিনিসপত্র বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন ও বিক্রয়ের সুবিধা। গত বছর ওএলএক্স এবং মার্কেট রিসার্চ ফার্ম ম্যাট্রিক্সল্যাবের প্রাকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ১ কোটি ৫ লক্ষ ব্যবহৃত দ্রব্যাদি তালিকাভুক্ত করেছেন। গবেষণাটি থেকে আরও জানা যায়, বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা মোট যে পরিমাণ ব্যবহৃত দ্রব্যাদির শ্রেণিভুক্ত বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, তার অর্থমূল্য ১৪৭ বিলিয়ন টাকা। ওএলএক্স বাংলাদেশে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র আট মাসে দুই লাখ ২৫ হাজারের বেশি শ্রেণিভুক্ত বিজ্ঞাপন পায় সাইটটি। গত জানুয়ারি মাসে ওএলএক্স একীভূত হয় এখানেই ডটকমের সাথে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ডটকম যাত্রা শুরুর দুই বছরের মধ্যে ৩২ লাখেরও বেশি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।

অনলাইন শপগুলোর আয়ের প্রধান উৎস কি?
এসব অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর আয়ের অন্যতম বড় দুইটা উৎস হলো: (১) কস্ট পার লিংক (সিপিসি) বা পে পার লিংক (পিপিসি) এবং (২) কস্ট পার ভিউ (সিপিভি)। একটি ওয়েবসাইটের কোনো পৃষ্ঠায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির লিংকের মধ্যে কোনগুলোতে বেশি ক্লিক পড়েছে, তা জানা যায় সিপিসি বা ক্লিক রেটের মাধ্যমে। আর বিজ্ঞাপনে ক্লিকগুলো দেখিয়ে সাইটের মালিকরা তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনগুলো দেখাতে পারেন এবং তা থেকে সিপিভি-এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে একজন বিজ্ঞাপনদাতা তাদের বিজ্ঞাপন দেন গুগল অ্যাডসেন্স থেকে গুগল অ্যাডওয়ার্ডসে গিয়ে। আর এই ওয়েবসাইটগুলো আয় করে গুগল থেকে।

অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে ভোগান্তি
ধরেন, আপনি পন্যের জন্য টাকা দিয়েছেন অনলাইনে বা বিকাশের মাধ্যমে, কিন্তু সাইটের মালিক বলল সে টাকা পায়নি। তখন আপনি ধরবেন কাকে? বেশিরভাগ অনলাইন সাইট নামসর্বস্ব, একজন ব্যাক্তি বাসায় বসে পরিচালনা করছে, তাদের কোন নির্দিষ্ট অফিস নাই। এই অবস্থায় তার খোঁজ পাবেন কি করে? আমাদের দেশে এখনও অনলাইন শপিংয়ের অনেক অনেক ফাঁকফোঁকর রয়ে গেছে। আর তাই প্রতিনিয়ত ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হচ্ছেন প্রতারিত। ছবিতে পণ্যের যে লুক দেখা যায় বাস্তবে তার মিল থাকে না। এ ক্ষেত্রে পণ্য না নিতে চাইলে ডেলিভারি চার্জ দিতে হয়। আবার দাম নিয়ে রয়েছে অনেক বিভ্রান্তি। অনেক সময় বাজারমূল্য থেকে বেশি দাম পড়ে যায় অনলাইন শপ। আবার যে সময় সাশ্রয়ের জন্য অনলাইন থেকে পণ্য কেনা হয় সেই সময়টাও নষ্ট হয় পণ্য কখন ডেলিভারি দিয়ে যাবে তার অপেক্ষায় থেকে। এ ছাড়া রয়েছে কেনাকাটায় উচ্চ হার। অনলাইনে কেনাবেচা-সংক্রান্ত লেনদেনের মাধ্যম ব্যাংক। আর এ বাবদ ব্যাংক প্রতি লেনদেনে ফি কেটে নিচ্ছে ৪ শতাংশ হারে। অথচ ব্রিটেনে প্রতি ২৭টি লেনদেন বাবদ ব্যাংকগুলো ফি রাখে ৫ পাউন্ড। আমাদের দেশে ইকমার্স বিজনেসের জন্য ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া অয় নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে। তবে বেশির ভাগ বিজনেস গড়ে উঠছে কোন রকম রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই। আমরা যারা অনলাইনে কেনাকাটা করি, তারা অবশ্যই চেক করে দেখবেন যে ইকমার্স সাইটের ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া আছে কি না। তাহলে যেকোনো সমস্যায় আইনগত সাহায্য পাবেন। বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত অনলাইন সাইটও অনুমোদন নিয়ে বিজনেস করছে না! কিন্তু আশার কথা হচ্ছে নতুন কিছু সাইট আসছে যারা বেশ ভালভাবে রেজিস্ট্রেশন করে বড় সেট আপ নিয়ে বিজনেসে নামছে। অনেকেই আবার ব্যতিক্রমধর্মী পন্য নিয়ে স্পেশাল ইকমার্স সাইট করছে। যেমনঃ উপহার ডট কম। এরা সব ধরণের উপহার সামগ্রী বিক্রেতা। আবার টপ অল ব্র্যান্ড সাইটের কথা বলতে পারি যারা শুধু মাত্র বিদেশী পন্য বিক্রয় করেএরা অবশ্য বিশাল সেট আপ নিয়ে কাজ করে চলেছে। এদের বিশেষত্ব হলো – দেশে উৎপাদিত পন্য এরা বিক্রয় করে না, বিদেশী পণ্যের আমদানিকারক একটি সংস্থার সাথে এরা কাজ করছে এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রিটেইল কাস্টোমারদের কাছে শুধুমাত্র বিদেশী পন্য সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া, পুরনো ইকমার্স সাইটগুলোর মধ্যে বাগডুম আমার কাছে ভাল লাগে, কিন্তু তাদের পণ্যের প্রাইস একটু বেশিআর দারাজ এর সার্ভিস ভালো না। আপনি হয়ত একই পন্য কয়েকটা সাইটে পাবেন। ভালভাবে যাচাই বাছাই করে কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন।

অনলাইন ইকমার্স বিজনেসের অনলাইনগত বৈধতা
দেশের অনলাইন শপিংয়ের ওয়েবসাইট বাড়লেও এখনো পর্যন্ত তা সুসংগঠিত নয়। নেই অনলাইনে কেনাবেচার কোনো নীতিমালা। গতানুগতিক ব্যবসার মতো অনলাইন শপ শুরু করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। এরপর ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে, ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়ে, প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টিং নিয়ে সাইট চালু করতে হয়। অনেকেই এখন ঘরে বসেই সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নিজস্ব অনলাইন শপের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এজন্য ফেসবুক, টুইটার খুললেই একটার পর একটা বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এতে নিয়মিতই বিভিন্ন পণ্যের বিবরণ ও মান সম্পর্কে সব ধরনের খবর দেওয়া হয়। অনেকে আবার কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করে নয়, ফেসবুকের ফ্যান পেজের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করছেন। এভাবে বিক্রীত পণ্যের ওপর ভ্যাট দিতে হয় না। কারণ, বাংলাদেশের অনলাইন স্টোরগুলোতে মূলত নিজস্ব পণ্য থাকে না। তাই এ ক্ষেত্রে ভ্যাটের বিষয়টাও খাটে না। যারা দেশের বাইরে থেকে পণ্যে অর্ডার নেন তাদের বৈদেশিক মুদ্রা আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর ১৮/এ ধারার অনুমোদন নিতে হয়। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর ১৮ এ এবং বি ধারায় স্থানীয় এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠানের কমিশন, ফি, সার্ভিস চার্জসহ যাবতীয় তথ্য এবং অফিস খরচ হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগে দাখিল করতে হয়। অন্যদিকে অন্যান্য দেশে পণ্য বিক্রির সুযোগ পেতে হলেও বিক্রেতাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ আনুষঙ্গিক তথ্য দাখিল করতে হয়। এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের পরই কেবল একজন বিক্রেতাকে পণ্য বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে যে কেউ ইচ্ছে করলেই অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তাই সাবধান! লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখলেই কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না! আগে যাচাই বাছাই করে নিবেন।
আশাকরি পোষ্টটি একটু হলেও আপনার উপকার করতে পেরেছে। ধন্যবাদ।

Read more ...

নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটা করার প্রয়োজনীয় টিপস

আমাদের দেশে এখন দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটার প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ছে। দেশে ই-কমার্স বিজনেস জনপ্রিয় হয়ে ওঠার এটাই প্রধান কারণ। ক্রেতার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিক্রেতার সংখ্যা। কিন্তু আমরা যারা মনের সুখে ঘরে বসে পন্য অর্ডার দিচ্ছি, হোম ডেলিভারি নিচ্ছি – তারা কি জানি যে এই ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকি বিদ্যমান? অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় সামান্য একটা ভুল সিদ্ধান্তে অনেক ক্ষতি হতে পারে আপনার।

নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটা


বাইরের ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করতে গেলে, পুরো প্রসেসটাই হয়ে থাকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এখানে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লেনেদেন করতে হয় বলে নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রাখতে হয়। আর দেশিয় সাইট গুলির ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত বিকাশ কিংবা ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করে পেমেন্ট করে থাকি। কিন্তু এই সব ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ভুলের জন্য হয়ে যেতে পারে অনেক বড় ক্ষতি। তাই সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদে এ ধরনের লেনদেন করার কিছু টিপস থাকছে আমার আজকের আয়োজনেঃ


নিরাপদ ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করুন
অর্থনৈতিক যে কোনো কাজ যেমন ব্যাংকিং বা কেনাকাটার জন্য প্রাইভেট ওয়াই-ফাই বা ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করুন। ফ্রি ওয়াই-ফাই নেট ব্যবহার করলে এ ধরণের আর্থিক লেনদেন না করাই  ভাল। অনেক সময় ওয়াই-ফাই নেটের মাধ্যমে কানেক্টেড ডিভাইসের ব্রাউজিং মনিটর করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যের হাতে চলে যেতে পারে।


কোন সাইটে মোবাইলে সব সময় লগ ইন রাখবেন না
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন সাইটে মোবাইল দিয়ে ভিজিট করি। কিন্তু মোবাইলটা আমার নিজের হাতে থাকে বলে সাধারণত লগ আউট না করে বেরিয়ে যাই। কিন্তু এটা ঠিক নয়! আপনি যদি মোবাইল দিয়ে অনলাইন কেনাকাটা করেন তাহলে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। লগ আউট করতে না চাইলে মোবাইল অবশ্যই লক স্ক্রিন পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য সতর্কতা বজায় রাখুন। যদি কোনো কারণে আপনার মোবাইল চুরি হয় তাহলে পুরো ব্যাংক ব্যালেন্স চোরের  হাতে দিয়ে দিলেন।


ই-কমার্স সাইট নিরাপদ কিনা যাচাই করুন
URL দেখেই সাইটটি বিশ্বস্ত কিনা তা জানা যায়। যদি সেখানে “https” থাকে তাহলে চোখ বন্ধ করে ধরে নিন এটা নিরাপদ সাইট। অন্যদিকে শুধু “http” থাকলে এই সাইট নিরাপদ কিনা তা URL দেখে বোঝা যাবে না। 


শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সাইট থেকে পণ্য কিনুন
দেশে এখন অনেক ধরণের কেনাকাটার সাইট তৈরি হয়েছে। সবগুলো যে বিশ্বস্ত তা বলা যায় না। আপনি বাগডুম, Foreign Products shop in bd , দারাজ কিংবা বাংলাদেশের প্রথম সারির ১০টা ইকমার্স সাইট থেকে পন্য ক্রয় করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে। অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় সাইট গুলি থেকে পন্য কেনার সময় খুব সাবধান হউন। ভাল ভাবে যাচাই করে নিন। নতুন কোন ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে পন্য কেনার আগে ভাল ভাবে যাচাই করে দেখে নিন। তবে নতুন মানেই খারাপ নয়! আমি টপ অলব্র্যান্ড নামের  একটা সাইট থেকে পন্য কিনে অনেক বিখ্যাত ই-কমার্স সাইটের চেয়ে ভাল সার্ভিস পেয়েছে।
- তাদের ওয়েবসাইট পরিপূর্ণ কি না
- সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে লাইক এবং ইউজারদের রিভিউ আছে কি না
- থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট কিংবা নিউজ পোর্টালগুলোতে তাদের নিয়ে নিউজ ছাপা হচ্ছে কি না
- তাদের নির্দিষ্ট অফিস এড্রেস আছে কি না
- তারা বড় আঁকারে বিজনেস সেটআপ করে নিয়েছে কি না 
এইসব দেখে পজিটিভ মনে হলে পন্য কিনতে পারেন।
Online Shopping bd ফেসবুক শপ থেকে পন্য কেনার সময় ১ লাখের বেশি লাইক আছে এমন পেইজ খুঁজে নিন। নতুন তৈরি হওয়া পেইজ থেকে কেনাকাটা নিরাপদ নাও হতে পারে। সাধারণত অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় আমাদের অগ্রিম পে করতে হয়। কোন অসাধু ব্যবসায়ি হয়ে থাকলে, আপনার টাকা বুঝে নিয়ে পন্য নাও দিতে পারে।
তাছাড়া আপনি কোন পন্য কেনার সময় ঠিকানা, ফোন নম্বর সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাইটকে দিতে হয়। তাই বিশ্বস্ত সাইট না হলে, তারা এইসমস্ত তথ্য থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি কিংবা বাজে কাজে ব্যবহার করতে পারে। কোন ধরণের বোকামি করবেন না!


একাউন্ট করার সময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
আপনি যে ওয়েবসাইট থেকেই কেনাকাটা করেন না কেন, সেখানে আপনার প্রথমে একটা একাউন্ট করতে হয়। এই একাউন্টটি করার সময় অবশ্যই শক্তিশালি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের বিকল্প নেই। আমাদের অনেকের মধ্যে এক্তা টেন্ডেন্সি দেখা যায়- আমরা পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্মদিন, মোবাইল নম্বর, নিজের নাম বা ১২৩৪৫ টাইপ করে সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি। এটা খুব বেশি রিস্কি। এর কারণ হচ্ছে যে, এই ধরণের পাসওয়ার্ড গেস করা অনেক বেশি সহজতাই নিরাপদ থাকতে চাইলে আপনাকে অনেক কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।


কোন প্রকার পপ আপ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না
এটা একটা অবশ্য পালনীয় রুলস। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় মাঝে মাঝে বিভিন্ন পপ আপ বা পপ আন্ডার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এ বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করলে হয়ে যেতে পারে অনেক বড় সর্বনাশ। অনেক ধরণের পপ আপ বিজ্ঞাপন আছে যেখানে ক্লিক করলে আপনার সমস্ত ইনফরমেশন পেয়ে যাবে থার্ড পার্টি। ধরুন আপনি কোন পেমেন্ট করার সময় আপনার ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের ডিটেইলস দিয়েছেন। এ অবস্থায় একটা পপ আপ এড আপনার সমস্ত ইনফরমেশন আপনার অজান্তে কপি করে নিতে পারে। পরে সেটা ব্যবহার করে তারা আপনার ক্রেডিট কার্ড ইউজ করে পেমেন্ট করে দিতে পারে।   তাই এগুলোতে ক্লিক করার আগে একটু সাবধান থাকবে হবে। ব্রাউজারে ad  blocker ব্যবহার করলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।


ইমেইল বিজ্ঞাপন থেকে দূরে থাকুন
ইমেইল বিজ্ঞাপন এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই ক্ষেত্রে অনেক ধরনের স্পামিং শুরু হয়েছে। আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন যে ই-মেইলে অনেক ধরনের বিজ্ঞাপনের মেইল আসে। অনেক লোভনীয় অফার বা ফ্রি পন্য দেওয়ার নিউজ দেয়। কিন্তু এই গুলা বেশির ভাগ ভুয়া হয়ে থাকে। তবে এমনও হতে পারে যে সেটা অতি পরিচিত এবং বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট। কিন্তু আপনি সরাসরি সেই বিজ্ঞাপন লিঙ্ক থেকে কিনবেন না। এই সব লিংক বেশির ভাগই অনিরাপদ হয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনি দরকার হলে সেই ওয়েবসাইট আলাদা করে এড্রেস টাইপ করে প্রবেশ করুন। তাহলে ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন।


ডেবিট কার্ড নয়! কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে কিছু নিয়মকানুন থাকে। তাই চাইলেই যে কেউ ব্যবহার করতে পারে না। অন্য দিকে ডেবিট কার্ড দিয়ে অনেক সহজেই অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। পাসওয়ার্ড জানা থাকলে যে কেউ এ দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারে।


লোকেশন ট্রেস এবং প্রাইভেসি সেটিংস ঠিক করুন
স্মার্টফোনের এই যুগে এখন অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অটোমেটিক GPS লোকেশন ট্যাক করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা প্রকাশ্যে শেয়ার করে দেয় ধরুণ আপনার পুরো পরিবার বাইরে বেড়াতে গিয়েছেন এখন সেই স্থান সবাইকে জানানো নিশ্চয়ই ভাল কথা না তাই প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহারে সতর্ক থাকুন


সব সফটওয়্যার আপ টু ডেট রাখুন
প্রতিনিয়ত আপনার ব্যবহার করা বিভিন্ন সফটওয়্যারের নতুন নতুন আপডেট রিলিজ করা হয়। হতে পারে সেটা অ্যান্টি ভাইরাস বা ফায়ার ওয়াল। এমনকি সেটা সেটা সাধারণ সফটওয়্যারও হতে পারে। সকল ক্ষেত্রে সফটওয়্যার আপডেটেড রাখা জরুরী। তাহলে অনেক সিকিউরিটি হোল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


পিসিতে শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন
আমরা অনেকেই ইদানিং অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করতে চাই না। আপনি কোন কোন সাইট ভিজিট করছেন তা নিশ্চয়ই কাউকে জানাতে চান না? অথচ এটা ট্র্যাক করা সম্ভব। ফলে অনেক অনাকাংখিত ঘটনার জন্ম হতে পারে। তাই নিরাপদ থাকতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। পারলে কিনে ব্যবহার করুন।


নিরাপদ ব্রাউজার ব্যবহার করুন
অনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী ব্রাউজের বিকল্প নেই। অনেকে এখনও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে থাকে। অথচ এ ব্রাউজারে প্রচুর সিকিউরিটি হোল রয়েছে। তাই মজিলা বা গুগল ক্রোম ব্রাউজারের সাথে ভালো এড অন্সও ব্যবহার করুন।
এছাড়াও আরও অনেক ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আজকের মত এ পর্যন্তই, আগামী কোন পোষ্টে অনলাইনে কেনাকাটার অন্যান্য দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করব। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


জেনে নিন বিকাশ দিয়ে আমাজন পণ্য কেনার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে জানতে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Read more ...